কয়েকমাস হয়ে গেলো বাংলাদেশে ইউটিউব প্রিমিয়াম লঞ্চ হয়েছে, মজার ব্যাপার হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য তারা এক্সক্লুসিভ প্রাইসিং রেখেছে আর বিজ্ঞাপন মুক্ত ইউটিউবের সাথে ইউটিউব মিউজিক একেবারেই ফ্রী! — অপরদিকে স্পটিফাই কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে রয়েছে এবং মিউজিক স্ট্রিমিং এর এক আলাদা লেভেল প্রদান করেই চলেছে। কিন্তু একসাথে দুইটি মিউজিক স্ট্রিমিং সার্ভিস তো পোষার দরকার নেই, রাইট? তাহলে, স্পটিফাই নাকি ইউটিউব মিউজিক?
আমার মনে হয় বাহুবলির সেই “কাটাপ্পা কেন বাহুবলি কে মেরেছিলো” এই প্রশ্নের পরেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে, “আপনি স্পটিফাই প্রিমিয়াম ব্যবহার করবেন নাকি ইউটিউব মিউজিক প্রিমিয়াম?” ঠিকআছে, খুব একটা চাপ নেওয়ার প্রয়োজন নেই, যখন আর্টিকেল টির টাইটেল থেকেই বুঝতে পাড়ছেন কি বিষয়ে আলোচনা করতে চলেছি, তো এই আলোচনা থেকে একটা উপসংহার বের করেই ছাড়ব! — তো চলুন, আরো একবার আপনার জীবন টা সহজ করার চেষ্টা করি।
এই স্পটিফাই প্রিমিয়াম আর ইউটিউব মিউজিক প্রিমিয়াম নিয়ে তর্ক বিতর্ক করার পূর্বে মিউজিক এবং এই দুইটি স্ট্রিমিং সার্ভিস নিয়ে কিছু কথা বলে নিতে চাই যে কথা গুলো আমার মনের একেবারেই কাছের এবং ব্লগ লিখা ছাড়া কোথাও বলা সম্ভব হচ্ছিলো না। আমি প্রথমেই অসংখ্য ধন্যবাদ জানাতে চাই স্পটিফাই কে, কারন তাদের বদৌলতে পাইরেটেড মিউজিক শোনা থেকে রেহায় পেয়েছে মানুষ। তাছাড়া একই প্লে লিস্ট নানান ডিভাইস থেকে সিঙ্ক করে শোনার যে মজা বা একটা সার্চ করেই কাঙ্খিত মিউজিক টি খুঁজে পাওয়া কিংবা জোস কোয়ালিটির মিউজিক রেকোমেন্ডেশন, সব মিলিয়ে মিউজিক প্রেমীদের জন্য সম্ভবনার নতুন এক দ্বার উন্মোচন করেছে এই স্পটিফাই এবং ইউটিউব মিউজিক।
সবচাইতে ভালো ব্যাপার হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য আলাদা প্রাইসিং লঞ্চ করা। ইউরোপ অ্যামেরিকার মতো প্রাইসিং রেখে দিলে মাসে হাজার বা দেড় হাজার খরচ করে মিউজিক স্ট্রিমিং করা কারো পক্ষেই সম্ভব হতো না।
স্পটিফাই প্রিমিয়াম
বাংলাদেশে স্পটিফাই প্রিমিয়াম লভ্য হওয়ার প্রথম দিন টি থেকে আজ পর্যন্ত আমি তাদের সার্ভিস টি ব্যাবহার করে আসছি। ইউটিউব মিউজিকের উপরে সবচেয়ে বড় সুবিধা টি মনে হয়েছে মোবাইল একাউন্ট থেকে স্পটিফাই প্রিমিয়াম বিল পেমেন্ট করার সুবিধা রয়েছে। বাংলাদেশে ডুয়াল কারেন্সি কার্ড তৈরি করা বেশ ঝামেলার প্রসেস আর মোবাইল ব্যালেন্স থেকে পে করার সুবিধা থাকার জন্য স্পটিফাই এখন অনেকের কাছেই শুধুমাত্র চয়েজ। চলুন স্পটিফাই এর কিছু ভালো দিক এবং ইউনিক দিক গুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক, তারপরে আমরা ইউটিউব মিউজিকের ইউনিক দিক এবং ভালো দিক গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
স্পটিফাই ইকোসিস্টেম
আমার কাছে স্পটিফাইএর সবচাইতে স্ট্রং পয়েন্ট টি মনে হয় এদের ইকোসিস্টেম। Spotify অনেক পুপলার স্ট্রিমিং সার্ভিস এবং এদের হিউজ ইউজার বেস রয়েছে, যেটা যেকোনো মিউজিক স্ট্রিমিং সার্ভিসের চাইতে অনেক গুন বেশি। সাথে Spotify অসংখ্য ডিভাইসে সাপোর্ট করে। আমার সবচাইতে পছন্দের ফিচার হচ্ছে “কানেক্ট” ফিচার টি। এখানে আমার হাতে কাছে থাকা ডিভাইস টি রিমোট কন্ট্রোল হিসেবে ব্যবহার করতে পারি।


ধরুন, আমি ওয়েব প্লেয়ার থেকে ডেস্কটপে মিউজিক প্লে করে রেখেছি। কিন্তু কোন কারনে মিউজিক চেঞ্জ করার জন্য ডেস্কটপ এর কাছে যেতে পারছি না। আমি হাতের মোবাইল টি থেকে একই একাউন্ট এ লগিন থাকলে মিউজিক চেঞ্জ করতে পারবো ভলিউম চেঞ্জ করতে পারবো। মানে ফুল সার্ভিস টি রিমোট ভাবে কন্ট্রোল করতে পারবো। এভাবে আমি যেকোনো ডিভাইজ থেকে যেকোনো ডিভাইসের মিউজিক কন্ট্রোল করতে পারবো আমি দেশের যে প্রান্তেই থাকি না কেন!
যেহেতু সবাই স্পটিফাই ব্যবহার করে সেই সুবিধার্থে সহজেই প্লে লিস্ট শেয়ার করা যায়, মিউজিক গ্রুপ বানিয়ে বন্ধুরা সবাই মিলে একই সাথে মিউজিক হোস্ট করা যায় এবং স্ট্রিমিং করা যায়। এই গ্রুপ মিউজিক লিসেনিং আমার কাছে স্পটিফাইতে স্টিক হয়ে থাকার আরেকটি বড় কারন বলতে পারেন।
মোবাইল ব্যালেন্স থেকে বিল পেমেন্ট
এই মুহূর্তে Spotify এর আরেকটি বড় সুবিধা হচ্ছে মোবাইল ব্যালেন্স থেকে সরাসরি সাবসক্রিপশন পেমেন্ট করা যায়। আপনার রবি/এয়ারটেল বা জিপি নাম্বার থেকে আপনি বিল পে করতে পারবেন। তবে জিপি দিয়ে বিল পেমেন্ট করার সময় সাবধান, এখানে আপনাকে এক্সট্রা ভ্যাট চার্জ করতে পারে। কিন্তু রবি/এয়ারটেল নাম্বারে এক্সট্রা ২-৪ টাকা চার্জ করে ব্যাস।


বাংলাদেশে ডুয়াল কারেন্সি কার্ড নেওয়া অনেক ঝামেলার প্রসেস। পাসপোর্ট থাকতে হয় আর আপনি স্টুডেন্ট হলে তো ব্যাংক একাউন্ট খুলতেই অনেক ঝামেলা হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে মোবাইল ব্যালেন্স থেকে সার্ভিস বিল পে করা সবচাইতে সহজ এবং দ্রুতগতির মনে হয়েছে আমার কাছে।
স্পটিফাই মিউজিক রেকোমেন্ডেশন
বাংলাদেশে অফিসিয়াল ভাবে Spotify প্রিমিয়াম আসার পূর্বে আমি ডিজার (deezer) এবং টাইডাল (tidal) ব্যবহার করতাম। এই দুইটি মিউজিক স্ট্রিমিং সার্ভিসে ইউনিক কিছু ব্যাপার থাকলেও Spotify এর মতো মিউজিক রেকোমেন্ডেশন তারা দিতে পারতো না। আপনার গান শোনার রুচি এবং অভ্যাসের ভিত্তিতে Spotify যে মিউজিক গুলো রেকোমেন্ড করে সত্যিই চমৎকার। আমি বলবো না প্রত্যেকবার শতভাগ মনের মতো রেকোমেন্ডেশন পাবেন, কিন্তু It’s pretty GOOD!


তাছাড়া আপনার মিউজিক টেস্টের উপরে ভিত্তি করে পুরাতন প্লে লিস্ট, মিক্স টেপ, অন রিপিট প্লে লিস্ট ইত্যাদি জেনারেট করে যেগুলো আপনার পছন্দ অনুসারে আপনি একেক সময় একেক প্লে লিস্ট উপভোগ করতে পারেন। তাছাড়া স্পটিফাই এর নতুন কম্পাইলেশন সিস্টেম টা ভালো লেগেছে এইটা অনেকটা টিকটক বা ইউটিউব শর্টস এর মতো গানের মাঝখান থেকে কিছু অংশ শোনা যায় এবং প্লে বা স্কিপ করা যায়। ইউটিউব মিউজিকে সেম ফিচার যুক্ত হয়েছে রিসেন্টলি যেটাকে মিউজিক স্যাম্পল নামে চালানো হচ্ছে।
ন্যাটিভ অ্যাপ সাপোর্ট
প্রত্যেক টা ডিভাইস এবং প্ল্যাটফর্মের জন্য স্পটিফাইয়ের রয়েছে ন্যাটিভ অ্যাপ সাপোর্ট। আমি জানি না গুগল কেন প্রগ্রেসিভ ওয়েব অ্যাপ কে বেশি সমর্থন করে কিন্তু আমার মতে গুগল এই জায়গায় ভুল। ন্যাটিভ অ্যাপ সাপোর্ট অনেক বেশি ভালো এক্সপেরিয়েন্স প্রদান করে। ব্রাউজারে ইউটিউব মিউজিকে গান শুনতে শুনতে ইউটিউব থেকে একাউন্ট চেঞ্জ করলে এদিকে মিউজিক অফ হয়ে যায় যেটা খুবই ডিস্টার্ব ফিল হয়।


এদিকে স্পটিফাই ডেস্কটপ এর জন্য রয়েছে কমপ্লিট অ্যাপ, যেটা পরিপূর্ণ ফিল দেয়। অ্যাপ এর ফাংশন বলুন কিংবা এক্সপেরিয়েন্স আপনি রিচ ফিল পাবেন যেটা ইউটিউব মিউজিক এর প্রগ্রেসিভ ওয়েব অ্যাপ থেকে পাওয়া যায় না।
ইউটিউব মিউজিক প্রিমিয়াম
বহুদিন পর্যন্ত ইউটিউব আমার মিউজিক কঞ্জিউমের প্রধান উৎস ছিলো। এখনো অনেক ইউজার ভেন্সড জাতীয় জিনিস ব্যবহার করে ইউটিউবে মিউজিক কঞ্জিউম করে। পূর্বে গুগল প্লে মিউজিক, পরে সেটাকে মেরে ফেলে ইউটিউব মিউজিক, জানেনই তো জলজ্যান্ত প্রডাক্ট মেরে ফেলার অভ্যাস গুগলের অনেক দিনের। যাইহোক, এখানে একটা ভালো কাজ করেছে গুগল সেটা হচ্ছে ইউটিউব প্রিমিয়াম সাবসক্রিপশনের সাথে ইউটিউব মিউজিক ইনক্লুড করে দিয়েছে বিনামুল্যে। অ্যান্ড এগেইন এরাও বাংলাদেশের জন্য সেপারেট প্ল্যান সেট করেছে যেটা খুবই ভালো ব্যাপার। তো চলুন, ইউটিউব মিউজিকের কিছু এক্সক্লুসিভ দিক গুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক, যেগুলো আমার কাছে স্পটিফাই থেকে বেটার মনে হয়েছে।
ইউটিউব মিউজিক এর মিউজিক রেকোমেন্ডেশন
পার্সোনাল ভাবে পূর্বে আমার কাছে স্পটিফাইএর মিউজিক রেকোমেন্ডেশন সবচাইতে জোস মনে হতো, কিন্তু কয়েক মাস জাবত ইউটিউব মিউজিক প্রিমিয়াম ব্যবহার করার পরে আমার ধারনা চেঞ্জ হয়েছে। YouTube Music Premium এর মিউজিক রেকোমেন্ডেশন অনেক উচ্চ পর্যায়ের। আমার মনে হয়েছে ইউটিউব এখানে ইউজারদের বেশি কন্ট্রোল প্রদান করেছে।


যেমন – কোন একটা গান চলাকালীন সময়ে আপনাকে UP Next অপশন প্রদান করা হয় এখানে সিমিলার টাইপ মিউজিক অটো প্লে হয়। এই অপশন স্পটিফাইতেও রয়েছে কিন্তু ইউটিউব মিউজিকে UP Next থেকে আমি সং সর্ট করতে পারবেন। আপনি Familiar সিলেক্ট করতে পারেন, এখানে কারেন্ট প্লেইং সং এর সাথে মিল থাকা গান গুলো আপ নেক্সট প্লে হবে। আমি Discover সিলেক্ট করতে পারেন, এতে নিউ জনরা বা সিমিলার টাইপের আর্টিস্ট এর মিউজিক গুলো শো করবে। তাছাড়া Popular, Deep Cuts, Party, Downbeat — ইত্যাদি অপশন গুলো UP NEXT এ যুক্ত করতে পারবেন, এটা আরো বেশি পার্সনালাইজড ফিল হয়েছে আমার কাছে।
অডিও/ভিডিও
ইউটিউব মিউজিকের আরেকটি মজার ফিচার হচ্ছে যেকোনো গানের যদি ভিডিও ভার্সন লভ্য থাকে, আপনি জাস্ট একটা টগল বাটন ব্যবহার করে সেটার অডিও এবং ভিডিও ভার্সনে সুইচ করতে পারবেন। এইটা সময়ের সাথে সাথে অনেকটা পারফেক্ট রেজাল্ট দিচ্ছে বর্তমানে। মানে মিউজিক শুনতে শুনতে ভিডিও টগল করলে ট্র্যাকের ঠিক ঐ জায়গা থেকেই ভিডিও প্লে হয়।


পূর্বে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাছে মিউজিক শুনতে চাইলে অ্যাসিস্ট্যান্ট অডিও ট্র্যাকে না নিয়ে গিয়ে ভিডিও প্লে করতো, কিন্তু বর্তমানে এগুলো ফিক্স হয়েছে। আরেকটি জিনিস লক্ষ্য করেছি, কোন গানের যদি অডিও ভার্সন ইউটিউব মিউজিক লাইব্রেরিতে না থাকে, ভিডিও গান থেকেই সেটা অডিও স্টাইলে প্লে করে ইউটিউব মিউজিক।
হিউজ লাইব্রেরি
আমি আপনাদের সম্পর্কে বলতে পারব না, কিন্তু আমি যদি কখনো পুরোপুরি ইউটিউব মিউজিকে মুভ করি তার প্রধান অন্যতম কারন হবে ইউটিউব এর বিরাট মিউজিক লাইব্রেরী। স্পটিফাই এর তুলনায় বা দুনিয়ার যেকোনো মিউজিক স্ট্রিমিং সার্ভিসের তুলনায় ইউটিউব মিউজিকের লাইব্রেরী বৃহত্তম। বিশেষ করে আপনি যদি লোকাল মিউজিক বেশি প্রিফার করে সেক্ষেত্রে ইউটিউব লাইব্রেরীর কোন বিকল্প পাবেন না। কারন কোন গান অডিও ভার্সন বা থাকলে সেটার ভিডিও থেকেই অডিও শুনতে পারবেন। আমার মনে হয় না দুনিয়ার এমন কোন গান বাদ রয়েছে এদের লাইব্রেরীতে।


স্পটিফাইতে দেশী মিউজিক এর পরিমান তুলনামুলক ভাবে অনেক কম পাবেন। তবে ইন্টারন্যাশনাল মিউজিক শুনলে সেখানে খুব একটা অভিযোগ করার যায়গা পাবেন না।
স্মার্ট ডাউনলোড
ইউটিউব মিউজিকের আরেকটি কিলার ফিচার হচ্ছে স্মার্ট ডাউনলোড। ভালো ব্যাপার হচ্ছে এইটা সম্পূর্ণ অটোমেটিক ফিচার। আপনার গান শোনার রুচির উপরে ভিত্তি করে বা আপনি কোন কোন মিউজিক গুলো রিপিট শোনেন সব গুলো অটো ডাউনলোড করে রেখে দেবে।


এখন আপনি হয়তো অফ রোড গেলেন, যেখানে সেল সিগন্যাল ভালো না, অফলাইন থেকে আরামে সব পছন্দের গান গুলো পেয়ে যাবেন। আপনাকে নিজে থেকে অফলাইন করা নিয়ে চিন্তাও করতে হবে না। আপনার যেটাই পছন্দের গান থাকুক না কেন, সারপ্রাইজিং ভাবে সব গুলোই পেয়ে যাবেন।
আরেকটি জিনিস মেনশন করতে ভুলে গেছিলাম, লোকাল MP3 মিউজিক স্পটিফাই এবং ইউটিউব মিউজিক দুইজনেই সাপোর্ট করে। কিন্তু ইউটিউব মিউজিকে সব লোকাল গান গুলো ক্লাউড আপলোড করে রাখা যায়। যেখানে Spotify তে শুধু লোকাল ডিভাইসেই সেভ থাকে। এইটা একটা কিলার ফিচার।
স্পটিফাই এবং ইউটিউব মিউজিক প্রিমিয়াম এর কমন ফিচারস
এই মুহূর্তে ইউটিউব মিউজিক বা স্পটিফাই — কারোই HiFi অডিও সাপোর্ট নাই। তবে স্পটিফাই রিসেন্টলি ঘোষণা করেছে তারা শীঘ্রই HiFi অডিও সাপোর্ট অ্যাড করবে, কিন্তু এই ফিচারের জন্য গ্রাহকদের আলাদা টাকা গুনতে হবে। যারা অডিও ফাইল রয়েছেন তারা সহজেই HiFi অডিও কোয়ালিটির পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
উভয় মিউজিক স্ট্রিমিং সার্ভিসের নানান টাইপের প্ল্যান রয়েছে। স্টুডেন্ট প্ল্যান থেকে শুরু করে ফ্যামিলি প্ল্যান রয়েছে এবং উভয় সার্ভিসের ক্ষেত্রে কয়েকজন মিলে ফ্যামিলি প্ল্যান কিনলে একেবারেই নাম মাত্র দামে সার্ভিস গুলো উপভোগ করতে পারবেন।
উভয় স্ট্রিমিং সার্ভিসের জনরা সেক্টর, কাস্টমাইজড জেনারেটেড প্লে লিস্ট, মিক্স টেপ ইত্যাদি আমার কাছে অল্মোস্ট সেম মনে হয়েছে। তাছাড়া এদের উভয়েরই ফ্রী অ্যাডস সাপর্টেড ভার্সন রয়েছে।
তো উপসংহার কি দাঁড়ালো? স্পটিফাই নাকি ইউটিউব মিউজিক প্রিমিয়াম? দেখুন, বেশিরভাগ মানুষের জন্য ইউটিউব মিউজিক প্রিমিয়াম সেরা পছন্দ হবে। যদি আপনার কাছে একটি ডুয়াল কারেন্সি কার্ড থাকে বা কারো সাথে ফ্যামিলি প্ল্যানে যুক্ত হতে পারেন। ইউটিউব মিউজিকের লাইব্রেরী এবং রেকোমেন্ডেশন এই মুহূর্তে টপ নচ। তবে একাধিক ডিভাইসে মিউজিক প্লে করা, রিমোট কন্ট্রোল ফিচার, মিউজিক রেডিও তৈরি করে গ্রুপ একসাথে মিউজিক শোনা সাক্রিফাইস করতে হবে।
আমার ক্ষেত্রে আমি দুইটিই একসাথে ব্যবহার করে যাবো সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অ্যাডস ফ্রী ইউটিউব এবং ভিডিও পিকচার অ্যান্ড পিকচার মুডে ব্যবহার করা আমার কাছে বেশি প্রয়োজনীয়। অপরদিকে আমি স্পটিফাই তে বেশি অভ্যস্ত। তবে বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে YouTube Music সেরা চয়েজ!